আড়িয়ল স্বর্ণময়ী উচ্চ বিদ্যালয়

0
0
আড়িয়ল স্বর্ণময়ী উচ্চ বিদ্যালয়

প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ, ২০২৫খ্রিষ্টাব্দ।। ১৩ই চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (বসন্ত কাল)।। ২৬ রমজান, ১৪৪৬ হিজরী।

বিক্রমপুর খবর : সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায়

আড়িয়লের উত্তরে সোনারং পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও আউটশাহী রাধানাথ উচ্চ বিদ্যালয় , পূর্বে ব্রাহ্মণভিটা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, দক্ষিণে কলমা লক্ষ্মীকান্ত উচ্চ বিদ্যালয় এবং পশ্চিমে লৌহজং পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় অবস্থিত। ১৯১৪ সালের আগে এর মধ্যবর্তী বিশাল জনপদ ছিল শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত।
এতদ অঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আড়িয়লের জমিদার চন্দ্রকান্ত চক্রবর্তীর পুত্রদ্বয় বাবু রসিক চন্দ্র চক্রবর্তী ও বাবু কেদারেশ্বর চক্রবর্তী ১৯১৪ সালের ২ রা ফেব্রুয়ারী আড়িয়ল স্বর্ণময়ী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। বিদ্যালয়ের প্রথম নাম ছিল Arial English School.
বিদ্যালয়ের প্রথম প্রধান শিক্ষক বাবু সুরেন্দ্র গাঙ্গুলীর ঠাকুরপাড়ের জমিতে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, চন্দ্রকান্ত চক্রবর্তী ছিলেন বিক্রমপুর পরগনার প্রজাস্বত্ত্ব আইনের পথিকৃৎ। বরিশালেও তাঁর জমিদারী ছিল। তিনি পেশায় ছিলেন উকিল। তাঁর হাত ধরেই শের ই বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক ওকালতি পেশায় নিযুক্ত হন।
চন্দ্রকান্ত চক্রবর্তীর বড় পুত্র বাবু রসিক চন্দ্র চক্রবর্তীও ওকালতি পেশায় নিযুক্ত এবং শের ই বাংলার বন্ধু ছিলেন। ছোট পুত্র বাবু কেদারেশ্বর চক্রবর্তী (কেদার ভূইয়া) আড়িয়লের জমিদারি দেখাশুনা করতেন। কৈশোরে বসন্ত রোগে তাঁর দুই চোখই অন্ধ হয়ে যায়। তথাপি তিনি তাঁর মনের দৃষ্টি দিয়ে মায়া মমতার সাথে প্রজাদের শাসন করতেন। আড়িয়লের অন্যান্য জমিদার যেমন হারান ভূঁইয়া, পুন্য ভূঁইয়া, কালীচরন ভূঁইয়া থেকেও তিনি কোমন মনের অধিকারী ছিলেন।
১৯১৯ সালে কুচক্রীদের প্ররোচনায় বিদ্যালয়টি আগুনে ভস্মীভূত হয়। বিদ্যালয়টি পুনঃনির্মানে বাবু রশিক চন্দ্র চক্রবর্তীর সহধর্মিণী স্বর্ণময়ী দেবী তাঁর নিজের স্বর্ণ মুকুট বিক্রি করে অর্থ দান করেন। স্বর্ণময়ী দেবীর নামানুসারে বিদ্যালয়ের নামকরন হয় “আড়িয়ল স্বর্ণময়ী উচ্চ বিদ্যালয়”।
বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরে জমিদারগণ নিজেরাই এবং বাবু মতিলাল গাঙ্গুলী মিলে বিদ্যালয় পরিচালনা করতেন। ‘৪৭ সালে অনেক জমিদার দেশ ত্যাগের পর মরহুম মৌলভী মোহাম্মদ আলী মাদবর সাহেব দীর্ঘদিন বিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন এবং মতিলাল গাঙ্গুলী প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৬৪ সালে স্বর্ণময়ীর ছাত্র আপরকাটি গ্রামের সন্তান রঞ্জিৎ দত্ত বাংলা বোর্ডে ১০ম স্থান অধিকার করে আলোড়ন সৃষ্টি করেন।
আশির দশকের প্রথম দিকে আড়িয়ল নিবাসী অখিল ভূঁইয়ার পুত্রগণ বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক বাবু হরে কৃষ্ণ চক্রবর্তী ( নাতু ভূঁইয়া) এবং তাঁর ভাই মুন্সিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহ প্রধান শিক্ষক বাবু বিনোদ বিহারী চক্রবর্তী (ছাতু ভূঁইয়া) আড়িয়লের মাঠ, দিঘি, পুকুর, বাগানসহ প্রায় ৯ একর সম্পত্তি বিদ্যালয়ের নামে দান করেন।
লেখক/তথ্য উপস্থাপন:- সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..           

‘‘আমাদের বিক্রমপুর– আমাদের খবর।
আমাদের
সাথেই থাকুন– বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’

Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com
আমাদের পেইজ এ লাইক দিন শেয়ার করুন।
জাস্ট এখানে ক্লিক করুন। https://www.facebook.com/BikrampurKhobor
email – bikrampurkhobor@gmail.com

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন