প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার,১০ ডিসেম্বর ২০২০ইং ।। ২৫শে অগ্রাহায়ণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)। ২৪শে রবিউস-সানি,১৪৪২ হিজরী।
বিক্রমপুর খবর : লৌহজং সংবাদদাতা : বসানো হলো স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সর্বশেষ স্প্যানটি। ৪১ স্প্যানে দৃশ্যমান হলো পুরো পদ্মা সেতু। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটির ওপর স্প্যান বসানোর কাজ শুরু হয়।
বেলা ১২টা ২ মিনিটে সেতুর মাওয়া প্রান্তের ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটির ওপর ঠিকঠাক বসে গেল টু-এফ নম্বর স্প্যানটি।
আর এর মধ্য দিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার এই সেতুর পুরো মূল কাঠামো দৃশ্যমাণ হল; তৈরি হল রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগের পথ।
২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর জাজিরা প্রান্তের ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে বসানো হয় সেতুর প্রথম স্প্যান। আর ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর, অর্থাৎ আজ মাওয়া প্রান্তের ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটির ওপর সেতুর সর্বশেষ তথা ৪১তম স্প্যান বসানো হলো।
করোনার কারণে আনুষ্ঠানিকতা নেই, তবু এর মধ্যে মাওয়ার কুমারভোগ ইয়ার্ডে সাজিয়ে তোলা হয়েছে স্বপ্নের সেতুর সবশেষ স্প্যানটি। চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি করছে সেতুর কাজ। স্প্যানের দুই পাশে তাই বাংলাদেশ ও চীনের জাতীয় পতাকা সেটে দেওয়া হয়েছে। দুদেশের সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করা হয়েছে বড় একটি অংশ জুড়ে। স্প্যানের গায়ে লিখে রাখা হয়েছে, যে শ্রমিকদের শ্রমে-ঘামে কাজের এত অগ্রগতি, তাদের কীর্তিগাথা।
স্প্যানটির নিরাপত্তায় বসানোর আগ পর্যন্ত টহল দিয়েছে সেনাবাহিনী। স্প্যানটি স্থাপন পর্যন্ত পদ্মা সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটি ও আশপাশ এলাকায় ফেরিসহ সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। পুরো এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ৪১ তম এ স্প্যানের ওজন প্রায় সাড়ে তিন হাজার মেট্রিক টন। চীন থেকে আনা একটি ক্রেনের সাহায্যে এটিকে নিওর্ধারিত স্থানে বসানো হয়।
বাংলাদেশ ও চীনের পতাকার রঙে সাজানো স্প্যানটি বসানো উপলক্ষে নিরাপত্তার কারণে কোনো রকম অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়নি।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদের বিক্রমপুর–আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন–বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’