প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০১৯। ৯ই জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। ১৭ রমজান ১৪৪০ হিজরি।
বিক্রমপুর খবর: নিজস্ব প্রতিনিধি-লৌহজং: আগামীকাল ২৪ মে (শুক্রবার)পদ্মাসেতুর ত্রয়োদশ স্প্যান ‘৩-বি’ মাওয়া প্রান্তের ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারের ওপর বসানোর কার্যক্রম শুরু হবে ।
আজ ২৩ মে (বৃহস্পতিবার) সকালে ত্রয়োদশ স্প্যান ‘৩-বি’বসানোর কার্যক্রম শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করে সেতু কর্তৃপক্ষ। স্প্যানটি বসানো হলে দৃশ্যমান হবে সেতুর এক হাজার ৯৫০ মিটার। এর আগে নাব্যতা-সংকট আর লিফটিং ক্রেনের স্বল্পতার কারণে কয়েক দফায় এ স্প্যানটি বসানোর শিডিউল পরিবর্তন করে সংশ্লিষ্ট সেতু কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়,ধূসর রংয়ের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডের বাইরে। মুন্সিগঞ্জের মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ক্রেন বহন করে নিয়ে যাবে স্প্যানটিকে।
পদ্মাসেতুর প্রকৌশল সূত্র জানান,আবহাওয়াসহ সবকিছু অনুকূলে থাকলে আগামীকাল ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যান বসানোর কাজ শুরু হবে। মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেনে বহন করে পিলারের ওপর বসানো হবে। একদিনেই স্প্যানটি বসানো সম্ভব। তবে কারিগরি সমস্যা কিংবা প্রতিকূল আবহাওয়া থাকলে আগামী শনিবার পর্যন্ত সময় গড়াতে পারে। আগামীকাল সকাল ৮ টায় স্প্যানটি মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেনে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ওইদিনই স্প্যানটি বসিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী প্রকৌশলীরা।
সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে পদ্মাসেতুর অগ্রগতি একটি বৈঠকে বিষয়টি জানানো হয়। পদ্মাসেতুর অগ্রগতি ৭৬ শতাংশ, আর নদীশাসন কাজের অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে পদ্মাসেতু প্রকল্পের অগ্রগতি এখন ৬৭ শতাংশ। সেতুর মূল ২৬২টি পাইলের মধ্যে ২৩৬টি পাইল ড্রাইভিং শেষ হয়েছে। বাকি থাকা ২৬টি পাইল জুলাই মাসের মধ্যে শেষ হচ্ছে বলে মন্ত্রীকে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম।
এছাড়া মূল সেতুর ৪২টি পিলারের মধ্যে ২৫টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে আরও ছয়টি পিলারের কাজ শেষ হবে। আর বাকি ১১টি পিলারের কাজ চলমান। মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ২৩টি স্প্যান ছিল। এর মধ্যে ১২টি স্পান পিলারের ওপর বসানো হয়েছে।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।