প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার,০৩ জানুয়ারি ২০১৯ ::বিক্রমপুর খবর::
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের জন্য দেশবাসীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি জনগণের কল্যাণে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেছেন তিনি।
গতকাল গণভবনে শুভেচ্ছা জানাতে আসা বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের সেবা করাটা একটি বড় কাজ। আমি যতদিন বেঁচে থাকব, এটা অব্যাহত রাখব। নির্বাচনের পর দেশ ও জনগণের প্রতি আমার দায়িত্বটা আরো বেড়ে গেছে।
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়কে সব সম্প্রদায় ও শ্রেণী-পেশার মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সমাজের সর্বস্তরের জনগণ আওয়ামী লীগের বিজয়ের জন্য সর্বান্তঃকরণে চেষ্টা চালিয়েছিল। এজন্য আমি তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকবিরোধী অনড় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে এ ধরনের জঞ্জালের কোনো স্থান হবে না।
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণ যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে তাদের রায় দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির কোনো ঠাঁই নেই। দেশ কেবল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাতেই এগিয়ে যাবে। এটাই বাস্তবতা। এ নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা জনগণের সে সম্মতিই লাভ করেছি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সব শ্রেণী-পেশার মানুষ নৌকার বিজয়ের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। যে কারণেই এ বিজয়। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ যেমন কবি, শিল্পী থেকে সাহিত্যিক এমনকি সাধারণ জনগণের পর্যন্ত আগ্রহ ছিল, নৌকা যেন জয়লাভ করে।
দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে দেশের সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সবার সহযোগিতা চাই, যাতে দেশের প্রগতি ও উন্নয়ন অব্যাহত থাকে। আমরা রাজনৈতিকভাবে, সামাজিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে এবং সাংস্কৃতিকভাবে আরো এগিয়ে যাব। বিশ্বে মাথা উঁঁচু করে চলব। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ আমরা অবশ্যই বিনির্মাণে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ।