অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

0
19

প্রকাশিত:শুক্রবার,০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।

বিক্রমপুর খবর:অনলাইন ডেস্ক: বাংলা একাডেমি থেকে: অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বইমেলা শুধু কেনাবেচা নয়, বইমেলা বাঙালির প্রাণের মেলা। এখানে লেখক-পাঠক-বইপ্রেমীদের মিলনমেলা ঘটে।

আজ  শুক্রবার (১ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমিতে গ্রন্থমেলার উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। এবারের বইমেলায় অংশ নিয়েছে ৪৯৯টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান।

মেলা উদ্বোধনের আগে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ ৪ জনকে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০১৮-তে ভূষিত করেন। পুরস্কার হিসেবে ২ লাখ টাকার চেক, ট্রফি এবং সনদপত্র বিজয়ীদের হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

বিজয়ীরা হচ্ছেন— কাজী রোজী (কবিতা), মোহিত কামাল (কথা সাহিত্য), সৈয়দ মো.শাহেদ (প্রবন্ধ এবং গবেষণা) এবং আফসান চৌধুরী (মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা)।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পাকিস্তানি আমলের গোয়েন্দা প্রতিবেদনগুলো নিয়ে সংকলিত ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ বইয়ের দ্বিতীয় খণ্ডের মোড়ক উন্মোচনও করেন প্রধানমন্ত্রী। বইটির মোট ১৪ খণ্ড প্রকাশিত হবে। গত সেপ্টেম্বরেই গণভবনে প্রথম খণ্ডের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

বইমেলার প্রতি নিজের ভালোবাসার কথা প্রকাশ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, যখন বিরোধী দলে ছিলাম, তখন প্রায়ই বইমেলায় আসতাম। এখনতো সরকারে বলে অনেকটা বন্দিজীবনেই থাকতে হয়। নিরাপত্তার কারণে অন্যের যেন সাধারণ মানুষের যেন অসুবিধা না হয়, সেজন্য আসি না। তবু সবসময় বইমেলায়ই মন পড়ে থাকে।

বইয়ের চাহিদা কখনো শেষ হবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখনতো সব ডিজিটাল হয়ে গেছে। মোবাইল বা অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইসে বই পড়ে সবাই। কিন্তু আমরা যত যান্ত্রিকভাবেই বই পড়ি না কেন, নতুন মলাট খুলে পৃষ্ঠা উল্টিয়ে বই পড়ার যে আনন্দ, সেটা অনুভব হয় না। অবশ্য অনলাইনে বই থাকলে সবার কাছে পৌঁছানো যায়, সেটাও জরুরি।

সরকার দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে, বাঙালি জাতি মাথা উঁচু করে চলবে, দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে উন্নত সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ দেশ আমাদের বাংলাদেশ, সে লক্ষ্যেই কাজ করছি।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন,একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা করার উদ্যোগ আমাদের সরকারের আমলেই নেওয়া হয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালনের মর্যাদা দেয় ইউনেস্কো। বাঙালির ইতিহাস ত্যাগের ইতিহাস। আর সেটিই আমাদের অর্জন।

বাংলা একাডেমির সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বাবু, ভারতীয় কবি শঙ্খ ঘোষ, মিশরীয় লেখক-গবেষক মোহসেন আল আরিশি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, সংসদ সদসবৃন্দ, সাবেক মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের জেষ্ঠ্য নেতৃবৃন্দ, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, কবি, সাহিত্যিক, লেখক,বুদ্ধিজীবীসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ, বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েরর উপাচার্যবৃন্দ, বিদেশি কূটনীতিক এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হওয়া এ মেলার পরিসর আরও বেড়েছে। বেড়েছে প্রকাশনা সংস্থার সংখ্যা। এবারের গ্রন্থমেলার প্রতিপাদ্য ঠিক হয়েছে ‘বিজয়: ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ নবপর্যায়’।

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন