প্রকাশিত: শনিবার,০৬ এপ্রিল ২০১৯: অনলাইন ডেস্ক: বিক্রমপুর খবর: জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা বিক্রমপুরের কৃতি সন্তান আবদুস সামাদ ওরফে টেলি সামাদ মারা গেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। আজ শনিবার রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রায় ৬০০ চলচ্চিত্রে অভিনয় করা এই অভিনেতা। হাসপাতাল সূত্রে এ খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।
টেলি সামাদের শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে গতকাল গভীর রাতে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাকে। তিনি ডা. প্রতীক দেওয়ানের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
টেলি সামাদের কন্যা সোহেলা সামাদ কাকলী বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই গুরুতর অসুস্থ ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের শক্তিমান এই কৌতুক অভিনেতা। গত বছরের শেষের দিকে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যাওয়ায় তাকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সে সময় তার অবস্থার অবনতি হলে বিএসএমএমইউ এর আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। এর আগে টেলি সামাদ ঢাকার পান্থপথে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সে সময় চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, টেলি সামাদের বুকে ইনফেকশন রয়েছে, তার ডায়াবেটিস রয়েছে। আর রক্তের প্লাটিলেটও কমে যাচ্ছিল বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।
প্রসঙ্গত, ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা টেলি সামাদকে এর আগে ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাইপাস সার্জারি করা হয়। গত বছরের ২০ অক্টোবর তার বাঁ পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। ১৯৭৩ সালে ‘কার বউ’ সিনেমা দিয়ে রূপালি পর্দায় পদার্পণ করা টেলি সামাদ সবশেষ ২০১৫ সালে ‘জিরো ডিগ্রী। এছাড়া-কুমারী মা (২০১৩), সাথী হারা নাগিন (২০১১),মায়ের চোখ (২০১০), আমার স্বপ্ন আমার সংসার (২০১০),রিকসাওয়ালার ছেলে (২০১০),মন বসে না পড়ার টেবিলে (২০০৯), কাজের মানুষ (২০০৯),মায়ের হাতে বেহেস্তের চাবি (২০০৯), কে আমি (২০০৯) ,কেয়ামত থেকে কেয়ামত (১৯৯৩), মিস লোলিতা (১৯৮৫),নতুন বউ (১৯৮৩),মাটির ঘর (১৯৭৯),নাগরদোলা (১৯৭৯), গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮),অশিক্ষিত (১৯৭৮),জয় পরাজয় (১৯৭৬),গুন্ডা (১৯৭৬),সুজন সখী (১৯৭৫) ,চাষীর মেয়ে (১৯৭৫),রঙিন রূপবান,ভাত দে ইত্যাদি সিনেমায় অভিনয় করেন। ।
টেলি সামাদের জন্ম ২০ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জ শহরের নয়াগাঁও-এ। সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠা টেলি সামাদের বড়ভাই বিখ্যাত চারুশিল্পী আবদুল হাইয়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে পড়াশোনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায়। সংগীতেও রয়েছে এই গুণী অভিনেতার পারদর্শিতা। ‘মনা পাগলা’ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন তিনি।